Services
Best Eye Care Services in Narayanganj.
স্বচ্ছ দৃষ্টি - সুস্থ জীবন
সহিতুন নেছা চক্ষু হাসপাতাল এন্ড ফ্যাকো সেন্টার
(রফিক-সাহনাজ ফাউন্ডেশনের একটি প্রকল্প)
      ঠিকানা: ৩৯/১, শায়েস্থা খান রোড, কালীর বাজার, পুরাতন কোর্টের বিপরীতে, নারায়ণগঞ্জ।
      ফোন: ০১৮২৮৪৭০৮৬৮, ০১৯৭৯০১০৯০৬
    
আমাদের সেবা সমূহ:
- ছানি অপারেশন (PHACO ও SICS)
- নেত্রনালী অপারেশন (DCR/DCT)
- চোখের মাংস বৃদ্ধি অপারেশন (PTREYGIUM AUTOGRAFT)
- চোখের টিউমার (Chalazion) অপারেশন
- বাঁকা চোখ সোজা করার অপারেশন (Squint Correction)
- Digital Slit Lamp দ্বারা চক্ষু বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরীক্ষা
- Digital Computerized Eye Test (চোখের পাওয়ার নির্ণয়)
- A.Scan Machine দ্বারা লেন্সের পাওয়ার নির্ধারণ
- Digital Non-Contact Tonometer দ্বারা চোখের প্রেসার নির্ণয়
- রেটিনার চিকিৎসা ও অপারেশন
আপনার চোখের সুস্থতায় আমরা আছি — আধুনিক প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকদের নিয়ে
ছানি অপারেশন (PHACO ও SICS)
ছানি অপারেশন হলো চোখের লেন্সে জমে থাকা ঘোলাটে অংশ (ছানি) সরিয়ে ফেলে একটি কৃত্রিম লেন্স প্রতিস্থাপন করার প্রক্রিয়া। বর্তমানে দুটি আধুনিক ও জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো PHACO (Phacoemulsification) এবং SICS (Small Incision Cataract Surgery)।
 
															PHACO (ফ্যাকোএমালসিফিকেশন):
এই পদ্ধতিতে একটি অতি সূক্ষ্ম আল্ট্রাসনিক যন্ত্র ব্যবহার করে ছানিকে তরল করে ভেতর থেকে বের করে ফেলা হয়। তারপর একটি ভাঁজযোগ্য কৃত্রিম লেন্স (IOL) ইনজেক্টর দিয়ে চোখের ভেতর প্রতিস্থাপন করা হয়। এর কাট বা চেরা খুব ছোট (প্রায় 2.2-2.8 মিমি), তাই সেলাই লাগে না এবং রোগী খুব দ্রুত স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান।
সুবিধা:
- দ্রুত আরোগ্য লাভ 
- কম জটিলতা 
- সেলাইবিহীন ও কম ব্যথাযুক্ত 
- আধুনিক লেন্স প্রতিস্থাপনের সুযোগ 
SICS (স্মল ইনসিশন ক্যাটার্যাক্ট সার্জারি):
SICS পদ্ধতিতে একটি তুলনামূলকভাবে বড় চেরা (প্রায় 6-7 মিমি) দিয়ে ছানি অপসারণ করা হয়। এরপর একটি কৃত্রিম লেন্স স্থাপন করা হয়। এটি উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অত্যন্ত জনপ্রিয়, কারণ এতে খরচ কম এবং যন্ত্রপাতির নির্ভরতা কম।
সুবিধা:
- খরচ সাশ্রয়ী 
- উচ্চ সফলতার হার 
- স্বল্প প্রযুক্তি নির্ভর 
PHACO এবং SICS – উভয়ই নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি। রোগীর চোখের অবস্থা, খরচ এবং সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়া উচিত।
নেত্রনালী অপারেশন (DCR/DCT)
নেত্রনালী (Lacrimal Duct) হলো চোখের পানি নিষ্কাশনের প্রধান পথ। এই নালীর কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেলে চোখে অতিরিক্ত পানি জমে থাকে, যা অস্বস্তিকর এবং সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে দুই ধরনের অপারেশন সাধারণত করা হয়: DCR (Dacryocystorhinostomy) এবং DCT (Dacryocystectomy)।
 
															🟢 DCR (Dacryocystorhinostomy):
DCR একটি আধুনিক ও কার্যকর পদ্ধতি যেখানে চোখের অশ্রুনালী এবং নাকের মধ্যে একটি নতুন পথ তৈরি করা হয়, যাতে পানি আবার স্বাভাবিকভাবে নাকে ড্রেন হতে পারে।
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- চোখের কোনায় (মেডিয়াল ক্যান্থাসে) ছোট একটি চেরা করে হাড়ের অংশে নতুন পথ তৈরি করা হয়। 
- এই পথে একটি ছোট নল (টিউব) স্থাপন করা হতে পারে যা কিছুদিন পর সরিয়ে ফেলা হয়। 
- এটি সাধারণত লোকাল অ্যানেস্থেসিয়াতে করা হয় এবং রোগী অপারেশনের দিনই বাড়ি ফিরতে পারেন। 
সুবিধা:
- চোখে পানি পড়ার স্থায়ী সমাধান 
- নাকের ভেতর প্রাকৃতিক ড্রেনেজ পুনরুদ্ধার 
- বেশি কার্যকর এবং সফলতার হার বেশি 
🔵 DCT (Dacryocystectomy):
DCT পদ্ধতিতে পুরো অশ্রু থলি (Lacrimal Sac) সরিয়ে ফেলা হয়। সাধারণত তখনই করা হয় যখন থলিতে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ (Chronic Dacryocystitis), পুঁজ জমা বা ফোঁড়া হয় এবং DCR সম্ভব নয়।
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- DCR এর তুলনায় সহজ ও দ্রুত প্রক্রিয়া 
- পানি পড়া বন্ধ হয়, তবে স্বাভাবিক নিষ্কাশন পথ তৈরি হয় না 
- চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে 
- DCR হলো প্রধান পছন্দ যদি নালি বন্ধ থাকে কিন্তু সংক্রমণ খুব বেশি না হয়। 
- DCT সাধারণত বয়স্ক বা গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে করা হয়। 
- উভয় পদ্ধতিই চোখের পানির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে কার্যকর। 
চোখের মাংস বৃদ্ধি অপারেশন (PTREYGIUM AUTOGRAFT)
চোখের মাংস বৃদ্ধি, যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় Pterygium বলা হয়, এটি একটি ত্রিকোণাকৃতি গোলাপি বা লালচে টিস্যু যা সাধারণত চোখের সাদা অংশ (সক্লেরা) থেকে গিয়ে কর্নিয়া (চোখের স্বচ্ছ অংশ) পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এটি বেশি দেখা যায় যারা দীর্ঘ সময় সূর্যের আলো, ধুলাবালি বা শুকনো পরিবেশে কাজ করেন।
 
															🔬 Pterygium Autograft Surgery কী?
Pterygium Autograft Surgery একটি আধুনিক ও কার্যকর পদ্ধতি যার মাধ্যমে মাংসপিণ্ডটি কেটে ফেলে চোখের সাদা অংশে কনজাঙ্কটিভা (চোখের পাতলা স্বচ্ছ আবরণ) থেকে নেওয়া একটি সুস্থ টিস্যু প্রতিস্থাপন করা হয়।
🛠️ অপারেশনের ধাপসমূহ:
- প্রথমে Pterygium বা মাংসপিণ্ডটি সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা হয়। 
- এরপর রোগীর নিজের চোখের অন্য অংশ (সাধারণত উপরের কনজাঙ্কটিভা) থেকে একটি পাতলা টিস্যু (Autograft) সংগ্রহ করা হয়। 
- এই টিস্যুটি সেই স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয় যেখানে Pterygium কাটা হয়েছে, এবং এটি সেলাই বা টিস্যু গ্লু দিয়ে স্থাপন করা হয়। 
✅ সুবিধাসমূহ:
- পুনরায় ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক কম (Recurrence Rate কম) 
- চোখের স্বাভাবিক রঙ ও গঠন বজায় থাকে 
- কম ব্যথাযুক্ত ও দ্রুত আরোগ্য 
- চেহারায় নান্দনিক সৌন্দর্য ফিরে আসে 
⚠️ সম্ভাব্য ঝুঁকি:
- অস্বস্তি বা চোখে জ্বালাপোড়া 
- সাময়িক লালচে ভাব 
- খুব কম ক্ষেত্রে সংক্রমণ বা টিস্যু না বসা 
- পুনরায় ফিরে আসার সম্ভাবনা (যদিও কম) 
🕒 অপারেশনের সময়:
- অপারেশনটি সাধারণত ৩০–৪৫ মিনিট সময় নেয় এবং লোকাল অ্যানেস্থেসিয়াতেই করা হয়। 
Pterygium Autograft Surgery হলো চোখের মাংসপিণ্ডের আধুনিক ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান। এটি না শুধুই চিকিৎসাগতভাবে উপকারী, বরং চোখের সৌন্দর্যও বজায় রাখে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে জটিলতা এবং দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এড়ানো সম্ভব।
চোখের টিউমার (Chalazion) অপারেশন
চোখের পাতায় ছোট, ধীরে ধীরে বড় হওয়া ফোলা অংশ বা গাঁটকে Chalazion বলা হয়। এটি আসলে একটি নিরীহ, ব্যথাহীন টিউমারসদৃশ ফোলা যা মেবোমিয়ান গ্রন্থির (চোখের পাতার তেল গ্রন্থি) রন্ধ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তৈরি হয়। যদিও এটি ক্যান্সার নয়, তবে বড় হলে অস্বস্তি, চোখে চাপ ও দৃষ্টির সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।
🔍 Chalazion-এর লক্ষণ:
- চোখের পাপড়িতে শক্ত গাঁট 
- সাধারণত ব্যথা হয় না (তবে সংক্রমণ হলে ব্যথা হতে পারে) 
- চোখে অস্বস্তি বা চাপ 
- দীর্ঘ সময় না কমলে বা বারবার ফিরে এলে অপারেশন প্রয়োজন 
 
															⚙️ Chalazion অপারেশন কীভাবে করা হয়?
Chalazion অপারেশনকে বলা হয় Incision and Curettage (I&C)। এটি একটি ছোট ও নিরাপদ প্রক্রিয়া যেখানে Chalazion-টি কেটে ভিতরের জমে থাকা পদার্থ (তেলজাতীয় পদার্থ ও কোষ) সরিয়ে ফেলা হয়।
🛠️ অপারেশনের ধাপসমূহ:
- চোখের পাতায় লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া (চোখের আশপাশে ইনজেকশন) দেওয়া হয়। 
- Chalazion-এর নিচের বা ভিতরের অংশে ছোট করে কাট দেওয়া হয়। 
- একটি ছোট যন্ত্র (Curette) দিয়ে ভেতরের জমাট পদার্থ বের করে ফেলা হয়। 
- সাধারণত সেলাই লাগে না, এবং চোখে ব্যান্ডেজ বা অ্যান্টিবায়োটিক মলম দেওয়া হয়। 
⏱️ সময় ও আরোগ্য:
- অপারেশনটি মাত্র ১৫–২০ মিনিট সময় লাগে। 
- রোগী সাধারণত একই দিনে বাড়ি ফিরতে পারেন। 
- ২–৫ দিনের মধ্যে অস্বস্তি কেটে যায় এবং চোখ স্বাভাবিক হয়। 
✅ সুবিধাসমূহ:
- দ্রুত ও কার্যকর পদ্ধতি 
- চোখের চাপ, অস্বস্তি ও ফোলাভাব কমে যায় 
- Chalazion আবার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কমে 
⚠️ ঝুঁকি (খুবই কম):
- সংক্রমণ 
- অল্প রক্তপাত 
- ফিরে আসা (বিশেষ করে যদি ত্বক তৈলাক্ত হয় বা নিয়মিত চোখে পরিষ্কার রাখা না হয়) 
📝 বিকল্প চিকিৎসা (যদি অপারেশন এড়াতে চান):
- গরম পানির সেঁক (Warm Compress) 
- অ্যান্টিবায়োটিক মলম বা চোখের ড্রপ 
- স্টেরয়েড ইনজেকশন (কিছু ক্ষেত্রে) 
Chalazion সাধারণত ক্ষতিকর নয়, তবে যদি বড় হয়ে যায় বা দীর্ঘদিন না কমে, তখন Incision and Curettage অপারেশন একটি নিরাপদ ও কার্যকর সমাধান। চোখের সৌন্দর্য ও স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ জরুরি।
বাঁকা চোখ সোজা করার অপারেশন (Squint Correction)
বাঁকা চোখ, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে Squint বা Strabismus বলা হয়, এটি একটি অবস্থা যেখানে দুই চোখ সঠিকভাবে একসাথে সরাসরি দেখতে ব্যর্থ হয়। এক চোখ সামনে তাকালেও অন্য চোখটি ভিন্ন দিকে ঘুরে যায় — যেমন ভিতরে (Esotropia), বাইরে (Exotropia), উপরে বা নিচে।
Squint ছোটদের পাশাপাশি বড়দেরও হতে পারে। এটি শুধু দেখতেও অস্বস্তিকর নয়, বরং দৃষ্টিশক্তির বিকাশে সমস্যা তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
🎯 Squint Correction Surgery কী?
Squint Correction Surgery একটি চোখের পেশির উপর করা হয়, যাতে চোখের অবস্থান সোজা করা যায়। এটি একটি নিরাপদ ও কার্যকর প্রক্রিয়া যেখানে চোখের মাংসপেশিগুলোর দৈর্ঘ্য বা টান ঠিক করে চোখের গতি ও অবস্থান ঠিক করা হয়।
 
															⚙️ অপারেশনের ধাপসমূহ:
- রোগীকে সাধারণত জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয় (বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে)। 
- চোখের পেশি (muscle) চোখের সাদা অংশের (sclera) ওপর থেকে আলগা করা হয়। 
- পেশি যদি বেশি টান দেয়, তবে তা ছেঁটে (recession) কমানো হয়, আর যদি কম টান দেয় তবে টেনে (resection) শক্ত করা হয়। 
- চোখের পজিশন সোজা করে পেশিগুলো আবার স্থাপন করা হয়। 
- সাধারণত সেলাই দেওয়া হয় এবং এটি চোখের ভিতরের অংশে থাকে, বাইরে থেকে দেখা যায় না। 
⏱️ সময় ও আরোগ্য:
- অপারেশনটি সাধারণত ৩০–৬০ মিনিট সময় নেয়। 
- একই দিনে বাসায় ফেরার অনুমতি দেওয়া হয় (Daycare surgery)। 
- কয়েক দিনের মধ্যে অস্বস্তি ও লালচে ভাব কেটে যায়। 
- সম্পূর্ণ আরোগ্য হতে ১–২ সপ্তাহ লাগে। 
✅ সফলতার সম্ভাবনা:
- চোখ স্বাভাবিকভাবে সোজা দেখা যায় 
- শিশুদের ক্ষেত্রে দ্বিদৃষ্টির বিকাশ (binocular vision) ফিরে আসে 
- আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক আত্মপ্রকাশে উন্নতি হয় 
⚠️ সম্ভাব্য ঝুঁকি (দুর্লভ হলেও হতে পারে):
- চোখ লাল বা ব্যথা থাকা কয়েকদিন 
- অস্থায়ী দৃষ্টির সমস্যা বা ঝাপসা দেখা 
- অপারেশনের পরও হালকা বাঁক থাকতে পারে বা পুনরায় ফিরে আসতে পারে (কম ক্ষেত্রে) 
- খুব কম ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অপারেশন লাগতে পারে 
👁️ বিকল্প চিকিৎসা (যদি অপারেশন না করা হয়):
- চশমা (বিশেষ করে যাদের রিফ্র্যাকটিভ এরর থাকে) 
- প্রিজম লেন্স 
- চোখের ব্যায়াম (Orthoptic therapy) 
- বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এক চোখে চশমা বা আই-প্যাচ 
Squint Correction Surgery একটি নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি যা চোখের সৌন্দর্য এবং কার্যকারিতা – উভয়ই ফিরিয়ে আনে। শিশুকালে অপারেশন করলে ভবিষ্যতের দৃষ্টিশক্তি অনেক ভালোভাবে গড়ে ওঠে। বড়দের ক্ষেত্রেও এটি আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর।
Digital Slit Lamp দ্বারা চক্ষু বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পরীক্ষা
Digital Slit Lamp হলো একটি উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন যন্ত্র যার মাধ্যমে চক্ষু বিশেষজ্ঞ চোখের সামনের অংশের (Anterior Segment) অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পরীক্ষা করতে পারেন। এটি সাধারণ Slit Lamp-এর উন্নততর রূপ, যেখানে ডিজিটাল ক্যামেরা ও কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে, ফলে চোখের অবস্থা রেকর্ড, বিশ্লেষণ ও সংরক্ষণ করা যায়।
🔬 কী কী পরীক্ষা করা যায় Digital Slit Lamp-এ?
Digital Slit Lamp দিয়ে চোখের নিম্নোক্ত অংশগুলো বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা করা হয়:
- চোখের পাতা (Eyelids) ও অশ্রু গ্রন্থি 
- কনজাঙ্কটিভা (চোখের সাদা অংশের ওপরের পাতলা পর্দা) 
- কর্ণিয়া (Cornea) – স্বচ্ছ স্তর 
- আইরিস (Iris – চোখের রঙিন অংশ) 
- লেন্স (Lens – ছানি আছে কিনা) 
- Anterior Chamber (চোখের সামনের কেমিক্যাল ভরাট অংশ) 
 
															📸 Digital Slit Lamp-এর বিশেষ সুবিধা:
✅ উচ্চ রেজোলিউশনের ছবি ও ভিডিও তোলা যায়: চোখের অবস্থা ছবি বা ভিডিও হিসেবে ধারণ করে রোগীর ফলো-আপ বা অন্য চিকিৎসকের সঙ্গে শেয়ার করা যায়।
✅ কম্পিউটার বিশ্লেষণ: সফটওয়্যার ব্যবহার করে রোগের সূক্ষ্ম পরিবর্তন সহজে শনাক্ত করা যায়।
✅ রোগের অগ্রগতি মূল্যায়ন সহজ: পুরনো ও নতুন ছবি তুলনা করে বোঝা যায় চোখের অবস্থা উন্নতি হয়েছে কিনা।
✅ শিক্ষা ও কাউন্সেলিং: রোগীকে চোখের ছবি দেখিয়ে সহজে বোঝানো যায় তার সমস্যা কী।
✅ রেকর্ড সংরক্ষণ: ভবিষ্যতের জন্য রোগীর চোখের অবস্থা ডিজিটালি সংরক্ষণ করা যায়।
👨⚕️ পরীক্ষা কেমন হয়?
- চেয়ারে বসিয়ে রোগীর চিবুক ও কপাল একটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্থাপন করতে বলা হয়। 
- চোখে আলো ফেলে ও বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। 
- বিশেষ ধরনের লেন্স ও ফিল্টার ব্যবহার করে চোখের বিভিন্ন স্তর পর্যবেক্ষণ করা হয়। 
- প্রয়োজনে ছবি/ভিডিও তোলা হয় এবং কম্পিউটার মনিটরে দেখানো হয়। 
⏱️ সময়: পুরো প্রক্রিয়া মাত্র ৫–১০ মিনিট।
🔍 কোন রোগে এই পরীক্ষা জরুরি?
- ছানি (Cataract) 
- চোখের মাংসপিণ্ড (Pterygium) 
- চোখে ইনফেকশন বা অ্যালার্জি 
- কর্নিয়ার ক্ষত (Ulcer) 
- গ্লুকোমার প্রাথমিক লক্ষণ 
- শুষ্ক চোখের সমস্যা 
- চোখে অজানা লালভাব বা ব্যথা 
Digital Slit Lamp হলো আধুনিক চক্ষু চিকিৎসায় এক নতুন যুগের সূচনা। এটি শুধু রোগ নির্ণয়ে নয়, রোগীর সঙ্গে বিশ্বাস ও বোঝাপড়া গড়ে তুলতেও সহায়ক। নিয়মিত চোখ পরীক্ষা ও চোখের যত্নে এই প্রযুক্তি অত্যন্ত কার্যকর।
Digital Computerized Eye Test (চোখের পাওয়ার নির্ণয়)
Digital Computerized Eye Test হলো চোখের পাওয়ার (মাইনাস/প্লাস বা সিলিন্ডার) নির্ণয়ের একটি আধুনিক, দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য প্রক্রিয়া। এতে কম্পিউটার-নির্ভর অটো রিফ্র্যাকটোমিটার বা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে চোখের ভিজুয়াল পাওয়ার নির্ণয় করা হয় — যা চশমা বা কনট্যাক্ট লেন্সের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
🧠 এই পরীক্ষায় কী হয়?
চোখের রিফ্র্যাকশন বা আলো ভাঙার পদ্ধতি মূল্যায়ন করে নির্ধারণ করা হয় আপনি:
- মাইনাস পাওয়ার (Myopia – দূর দেখায় সমস্যা) 
- প্লাস পাওয়ার (Hyperopia – কাছে দেখায় সমস্যা) 
- সিলিন্ডার পাওয়ার (Astigmatism – বিকৃত বা অস্পষ্ট দৃষ্টি) 
 
															⚙️ পরীক্ষার ধাপ:
- Auto Refractometer: 
 রোগী একটি যন্ত্রের সামনে বসে, যেটি চোখে আলো পাঠিয়ে রেটিনায় প্রতিফলন দেখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চোখের পাওয়ার হিসাব করে।
- Keratometer: 
 কর্নিয়ার বাঁক বা বক্রতাও নির্ণয় করা হয়, যা সিলিন্ডার পাওয়ার বা অস্থির দৃষ্টির কারণ চিহ্নিত করে।
- Digital Vision Chart/Phoropter Test: 
 কম্পিউটার মনিটরে অক্ষর/চিত্র দেখিয়ে চোখের সামঞ্জস্য (subjective test) যাচাই করা হয়, যেখানে চক্ষু চিকিৎসক বা অপ্টোমেট্রিস্ট পাওয়ার নিশ্চিত করেন।
- Final Prescription: 
 অটো রিফ্র্যাকশনের ফলাফল ও আপনার চোখে কেমন দেখছেন – এই দুটো মিলিয়ে চিকিৎসক আপনার চশমার সঠিক পাওয়ার নির্ধারণ করেন।
✅ এই পদ্ধতির সুবিধা:
- দ্রুত ও স্বয়ংক্রিয় পরিমাপ (2–5 মিনিটে) 
- মানবিক ভুলের সম্ভাবনা কম 
- বাচ্চা ও বৃদ্ধদের জন্যও সহজে করা যায় 
- প্রথমিক স্ক্রীনিং বা চশমার আপডেটের জন্য উপযুক্ত 
- ফলো-আপে আগের রিপোর্টের সঙ্গে তুলনা করা যায় 
👓 কারা এই পরীক্ষা করাবেন?
- যাদের চোখে ঝাপসা দেখা দেয় (দূরে বা কাছে) 
- মাথাব্যথা হয় নিয়মিত চোখে চাপ পড়ে 
- যাদের চশমা পুরনো, পরিবর্তন দরকার 
- বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার আগে চোখ পরীক্ষা 
- চোখে অস্বস্তি, চোখ রগড়ানো বা ঘন ঘন চোখ বন্ধ করলে 
Digital Computerized Eye Test হলো চশমার পাওয়ার নির্ণয়ের সবচেয়ে আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য উপায়। এটি অপটিকস বা চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শে করানো উচিত, কারণ চূড়ান্ত চশমা পাওয়ার নির্ধারণে মেশিনের পাশাপাশি চিকিৎসকের অভিজ্ঞতাও গুরুত্বপূর্ণ।
A.Scan Machine দ্বারা লেন্সের পাওয়ার নির্ধারণ
A-Scan Machine দ্বারা লেন্সের পাওয়ার নির্ধারণ – ছানি অপারেশনের জন্য অত্যাবশ্যক একটি আধুনিক পরীক্ষা
A-Scan Biometry হলো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও আধুনিক পরীক্ষার পদ্ধতি যার মাধ্যমে চোখের অভ্যন্তরীণ দৈর্ঘ্য (Axial Length) মেপে ছানি অপারেশনের সময় বসানোর কৃত্রিম লেন্সের (IOL – Intraocular Lens) সঠিক পাওয়ার নির্ধারণ করা হয়।
এটি মূলত Ultrasound ভিত্তিক পরীক্ষা, এবং ছানি (Cataract) অপারেশনের পূর্বে প্রতিটি রোগীর জন্য আলাদাভাবে লেন্সের পাওয়ার গণনা করতে সাহায্য করে।
 
															🧪 A-Scan কি কাজ করে?
A-Scan মেশিন চোখের অভ্যন্তর থেকে প্রতিফলিত হওয়া আল্ট্রাসাউন্ড তরঙ্গ ব্যবহার করে নিচের বিষয়গুলো পরিমাপ করে:
- Axial Length (চোখের সামনের অংশ থেকে রেটিনা পর্যন্ত দৈর্ঘ্য) 
- Anterior Chamber Depth (চোখের সামনের তরলভর্তি অংশের গভীরতা) 
- Lens Thickness (মূল লেন্সের পুরুত্ব) 
- IOL Power Calculation (বসানোর জন্য কৃত্রিম লেন্সের সঠিক পাওয়ার) 
⚙️ পরীক্ষা কিভাবে করা হয়?
- রোগীকে চেয়ারে বসানো হয়। 
- চোখে কিছুটা অসাধারণতা দূর করতে লোকাল অ্যানেস্থেটিক ড্রপ দেওয়া হয়। 
- একটি ছোট আল্ট্রাসাউন্ড প্রোব চোখে বা চোখের সামনে ধরে রাখা হয়। 
- যন্ত্রটি আল্ট্রাসাউন্ড পাঠিয়ে চোখের দৈর্ঘ্য ও অন্যান্য পরিমাপ নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করে। 
- এই রিপোর্টের ভিত্তিতে SRK/T বা Holladay Formula দিয়ে লেন্সের পাওয়ার নির্ধারণ করা হয়। 
✅ A-Scan এর সুবিধাসমূহ:
- ছানি অপারেশনের সময় সঠিক লেন্স বসানো নিশ্চিত করে 
- অপারেশনের পর দৃষ্টিশক্তি পরিষ্কার ও নির্ভুল থাকে 
- ব্যক্তিভেদে লেন্স নির্বাচন সহজ হয় 
- চোখের গঠন অনুযায়ী নির্ভুল পরিমাপ 
- স্বল্প সময়ে (মাত্র 5–10 মিনিট) শেষ হয় 
👨⚕️ কখন A-Scan করানো প্রয়োজন?
- ছানি অপারেশনের পূর্বে 
- যাদের পূর্বে কোনো চক্ষু অস্ত্রোপচার হয়েছে 
- যাদের চোখ খুব ছোট বা বড় (Short/Long Axial Length) 
- Toric, Multifocal বা Premium IOL বসানোর পরিকল্পনা থাকলে 
🔍 A-Scan এর পাশাপাশি যে পরীক্ষাগুলো করা হয়:
| পরীক্ষা | উদ্দেশ্য | 
|---|---|
| Keratometry / Topography | কর্নিয়ার বাঁক মাপা | 
| B-Scan (যদি চোখ ঘোলা থাকে) | চোখের অভ্যন্তরের গঠন দেখা | 
| IOL Master (প্রিমিয়াম মেশিন, Optical Biometry) | লেজারভিত্তিক পরিমাপ (Touch-free) | 
A-Scan Biometry ছানি অপারেশনের আগে একটি বাধ্যতামূলক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এটি কৃত্রিম লেন্সের সঠিক পাওয়ার নির্ধারণ করে অপারেশনের সফলতা নিশ্চিত করে। সঠিক পরিমাপ মানে অপারেশনের পর আরও পরিষ্কার দৃষ্টি।
রেটিনার চিকিৎসা ও অপারেশন
রেটিনা (Retina) হলো চোখের পেছনের অংশে অবস্থিত একটি পাতলা, আলো সংবেদনশীল স্তর, যা আমাদের দৃষ্টিশক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ক্যামেরার ফিল্মের মতো কাজ করে – আলো ও ছবি সংগ্রহ করে তা মস্তিষ্কে প্রেরণ করে।
যদি রেটিনায় কোনো রোগ বা ক্ষতি হয়, তবে দৃষ্টিশক্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই রেটিনার চিকিৎসা ও অপারেশন অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ও দ্রুত করতে হয়।
🧠 সাধারণ রেটিনার রোগসমূহ:
- Diabetic Retinopathy – ডায়াবেটিসের কারণে রেটিনার রক্তনালির ক্ষতি 
- Retinal Detachment – রেটিনার আলাদা হয়ে যাওয়া 
- Macular Degeneration – বয়সজনিত কেন্দ্রীয় দৃষ্টির ক্ষয় 
- Retinal Vein Occlusion – রেটিনার শিরা বন্ধ হয়ে যাওয়া 
- Macular Hole / Epiretinal Membrane – ম্যাকুলা অঞ্চলে গর্ত বা আবরণ 
- Retinopathy of Prematurity (ROP) – অপরিণত শিশুদের রেটিনার সমস্যা 
 
															⚙️ চিকিৎসার ধরণ (রোগভেদে):
1. ইনজেকশন (Intravitreal Injection):
- যেমন: Avastin, Eylea, Lucentis 
- ব্যবহৃত হয়: ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, ম্যাকুলার এডিমা, AMD-তে 
- পদ্ধতি: চোখের ভিতরে ইনজেকশন দেওয়া হয় – ব্যথামুক্ত ও কয়েক মিনিটেই সম্পন্ন 
2. লেজার থেরাপি (Retinal Laser Photocoagulation):
- ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালি বা রেটিনার ফাঁটা জায়গায় আলো ফেলে জোড়া লাগানো হয় 
- ব্যবহৃত হয়: ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, রেটিনাল টিয়ার ইত্যাদিতে 
3. Vitrectomy (ভিট্রেকটমি অপারেশন):
- এটি একটি জটিল মাইক্রোসার্জারি, যেখানে চোখের অভ্যন্তরের জেল পদার্থ (vitreous) সরিয়ে ফেলে রেটিনাকে মেরামত করা হয় 
- ব্যবহৃত হয়: - Retinal Detachment 
- Macular Hole 
- Vitreous Hemorrhage (রক্তপাত) 
- Epiretinal Membrane 
 
4. Scleral Buckling:
- Retinal Detachment-এর জন্য ব্যবহৃত একটি পুরনো কিন্তু কার্যকর অপারেশন 
- চোখের বাইরের অংশে সিলিকনের ব্যান্ড বসিয়ে রেটিনাকে আবার জোড়া লাগানো হয় 
🏥 অপারেশনের পূর্বে কী করা হয়?
- OCT Scan: রেটিনার স্তরগুলো বিশ্লেষণ 
- FFA (Fundus Fluorescein Angiography): রেটিনার রক্তনালির অবস্থা দেখা 
- Ultrasound B-scan: চোখের ভিতরে রক্ত বা ছানি থাকলে ভিতরের গঠন দেখার জন্য 
⏱️ অপারেশনের সময় ও আরোগ্যকাল:
- সময়: সাধারণত ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত 
- অ্যানেস্থেসিয়া: লোকাল বা জেনারেল, রোগীভেদে 
- সম্পূর্ণ আরোগ্য: ২–৪ সপ্তাহের মধ্যে, তবে ফলাফল নির্ভর করে রোগের অবস্থার ওপর 
⚠️ ঝুঁকি ও সতর্কতা:
- কিছু ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি ফেরে না 
- চোখে চাপ বৃদ্ধি (Glaucoma) 
- ইনফেকশন বা রক্তপাতের সম্ভাবনা 
- নিয়মিত ফলোআপ না করলে সমস্যা আবার হতে পারে 
রেটিনার চিকিৎসা ও অপারেশন অত্যন্ত সূক্ষ্ম, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর এবং অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে করা উচিত। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলে দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করা সম্ভব।
Digital Non-Contact Tonometer দ্বারা চোখের প্রেসার নির্ণয়
Digital Non-Contact Tonometer দ্বারা চোখের প্রেসার নির্ণয় – একটি আধুনিক ও ব্যথামুক্ত পরীক্ষা পদ্ধতি
চোখের ভেতরের চাপ বা Intraocular Pressure (IOP) নির্ণয় করার জন্য আধুনিক ও আরামদায়ক যন্ত্র হলো Digital Non-Contact Tonometer (NCT)। এটি এমন একটি যন্ত্র যা চোখে কোনো কিছু ছোঁয়ায় না, বরং বাতাসের হালকা একটি ধাক্কা (air puff) ব্যবহার করে চোখের ভেতরের চাপ নির্ণয় করে। এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ নিরাপদ, দ্রুত ও ব্যথাহীন।
🧠 চোখের প্রেসার কেন মাপা জরুরি?
চোখের ভেতরে তরলের (Aqueous Humor) স্বাভাবিক প্রবাহের কারণে একটি নির্দিষ্ট চাপ বজায় থাকে। এই চাপ বেড়ে গেলে চোখের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে সৃষ্টি হয় গ্লুকোমা (Glaucoma) – একটি নীরব দৃষ্টিহানিকারক রোগ।
✅ তাই চোখের প্রেসার নিয়মিত পরীক্ষা করালে গ্লুকোমা প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করা সম্ভব।
 
															⚙️ কিভাবে কাজ করে Non-Contact Tonometer?
- রোগী একটি নির্দিষ্ট চেয়ারে বসে যন্ত্রের সামনে চোখ স্থির করে রাখেন। 
- যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চোখ লক্ষ্য করে একটি হালকা বাতাসের ঝাঁপটা (air puff) দেয়। 
- এই বাতাস চোখের কর্নিয়া (cornea)-কে সামান্য বাঁকায় এবং যন্ত্রটি তার প্রতিক্রিয়া পরিমাপ করে। 
- এর মাধ্যমে চোখের ভেতরের চাপ (mmHg) ডিজিটালভাবে স্ক্রিনে দেখায়। 
✅ এই পদ্ধতির সুবিধাসমূহ:
| সুবিধা | ব্যাখ্যা | 
|---|---|
| ব্যথাহীন | কোনো সূঁচ বা চোখে স্পর্শ লাগে না | 
| দ্রুত | এক চোখে মাত্র ২–৩ সেকেন্ড | 
| নিরাপদ | সংক্রমণের ঝুঁকি নেই | 
| সুবিধাজনক | শিশু ও বয়স্কদের জন্যও উপযুক্ত | 
| ডিজিটাল রেকর্ডিং | ফলাফল সংরক্ষণ ও তুলনা সহজ | 
📊 স্বাভাবিক চোখের প্রেসার কত?
সাধারণত চোখের স্বাভাবিক চাপ:
👉 10 – 21 mmHg
যদি 21 mmHg-এর বেশি হয়, তবে তা গ্লুকোমার লক্ষণ হতে পারে (বিশেষ করে অন্যান্য উপসর্গ থাকলে)।
👁️ কারা এই পরীক্ষা করবেন?
- যাদের পরিবারে গ্লুকোমার ইতিহাস আছে 
- ৪০ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো ব্যক্তি 
- ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার বা থাইরয়েড রোগী 
- মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা বা চোখে চাপ অনুভব করলে 
- নিয়মিত ছানি বা চোখের ফলোআপ করানো রোগী 
Digital Non-Contact Tonometer একটি সহজ, দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতি যার মাধ্যমে চোখের ভেতরের প্রেসার নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা যায়। এটি গ্লুকোমার মতো নীরব রোগ প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করতে সাহায্য করে এবং নিয়মিত চেকআপে এর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
